আনারসের পুষ্টিগুণ ও কিছু মজার তথ্যঃ



আনারসের পুষ্টিগুণ ও কিছু মজার তথ্যঃ
আনারস একটি গ্রীষ্মকালীন ফল। এটি সবার পরিচিত রসালো, সুস্বাদু ও পুষ্টিকর ফল। আমাদের দেশে মার্চ-আগস্ট মাস পর্যন্ত প্রচুর পরিমাণে আনারস পাওয়া যায়। এটি আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। আসুন এই আনারস সম্পর্কে কিছু মজার মজার তথ্য জানিঃ
◊ প্রতিটি আনারস উদ্ভিদ থেকে বছরে মাত্র একটি ফল পাওয়া যায়।

◊ কাঁচা আনারস শুধু খারাপ স্বাদযুক্ত নয়, এটি বিষাক্তও বটে। কাঁচা আনারস খেলে মারাত্মকভাবে গলা চুলকাবে।

◊ আনারস খুব ধীরে ধীবে বড় হতে থাকে। এটি পূর্ণ আকার হতে দুই বছর পর্যন্ত সময় নিতে পারে।

◊ এ পর্যন্ত বিশ্বের সবচেয়ে বড় আনারসটির আকার ছিল ৮.২৮ কেজি।

◊ আপনি আনারসকে দ্রুত পাকাতে পারবেন। এজন্য আনারসকে উল্টা করে রেখে দিবেন। অর্থাৎ যে পাশে পাতা হয় তা নিচের দিকে রাখতে হবে।

◊ আনারসে ব্রোমেলিন নামক এনজাইম থাকে যা প্রোটিনকে ভাঙ্গতে পারে। তাই মাংস নরম করতে আনারস অথবা আনারসের জুস ব্যবহার করতে পারেন। ব্রোমেলিন এনজাইম থাকায় তাজা আনারসকে জেলীতে রাখা যায় না। কারণ এটি জেলাটিন ভেঙ্গে ফেলে। তবে আনারস কেটে স্লাইস করে তা পানিতে অথবা আনারসের জুসে সিদ্ধ করলে এ সমস্যা হয় না। তাছাড়া ক্যানিং করেও রাখা যায়।
. .
খাদ্য হিসেবে আনারসের পুষ্টিগুণঃ

পুষ্টির অভাব দূর করেঃ আনারস পুষ্টির বেশ বড় একটি উৎস। আনারসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ এবং সি, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম ও ফসফরাস। এসব উপাদান আমাদের দেহের পুষ্টির অভাব পূরণে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।

হাড় গঠনেঃ আনারসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম ও ম্যাঙ্গানিজ। ক্যালসিয়াম হাড়ের গঠনে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং ম্যাঙ্গানিজ হাড়কে করে তোলে মজবুত। প্রতিদিনের খাবার তালিকায় পরিমিত পরিমাণ আনারস রাখলে হাড়ের সমস্যাজনিত যে কোনও রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব।

ওজন নিয়ন্ত্রণেঃ শুনতে অবাক লাগলেও আনারস আমাদের ওজন কমাতে সাহায্য করে। কারণ আনারসে প্রচুর ফাইবার এবং অনেক কম ফ্যাট রয়েছে। সকালে আনারস বা সালাদ হিসেবে এর ব্যবহার অথবা আনারসের জুস অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর।

চোখের স্বাস্থ্য রক্ষায়ঃ বিভিন্ন গবেষণায় দেখা যায়, আনারস ম্যাক্যুলার ডিগ্রেডেশন হওয়া থেকে আমাদের রক্ষা করে। এ রোগটি আমাদের চোখের রেটিনা নষ্ট করে দেয় এবং আমরা ধীরে ধীরে অন্ধ হয়ে যাই। আনারসে রয়েছে বেটা ক্যারোটিন। প্রতিদিন আনারস খেলে এ রোগ হওয়ার সম্ভাবনা ৩০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যায়। এতে সুস্থ থাকে আমাদের চোখ।

দাঁত ও মাড়ি সুরক্ষায়ঃ আনারসের ক্যালসিয়াম দাঁতের সুরক্ষায় কাজ করে। মাড়ির যে কোনো সমস্যা সমাধান করতে বেশ কার্যকর ভূমিকা পালন করে। প্রতিদিন আনারস খেলে দাঁতে জীবাণুর আক্রমণ কম হয় এবং দাঁত ঠিক থাকে।

রক্ত জমাটে বাধা দেয়ঃ দেহে রক্ত জমাট বাঁধতে বাধা দেয় এই ফল। ফলে শিরা-ধমনির (রক্তবাহী নালি) দেয়ালে রক্ত না জমার জন্য সারা শরীরে সঠিকভাবে রক্ত যেতে পারে। হৃদপিণ্ড আমাদের শরীরে অক্সিজেনযুক্ত রক্ত সরবরাহ করে। আনারস রক্ত পরিষ্কার করে হৃদপিণ্ডকে কাজ করতে সাহায্য করে।

হজমশক্তি বাড়ায়ঃ আনারস আমাদের হজমশক্তি বৃদ্ধি করতে বেশ কার্যকরী। আনারসে রয়েছে ব্রোমেলিন, যা আমাদের হজমশক্তিকে উন্নত করতে সাহায্য করে। বদহজম বা হজমজনিত যে কোনো সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে প্রতিদিন আনারস খাওয়া অত্যন্ত জরুরি।

Thanks for reading my post.

মন্তব্যসমূহ

All posts

ঘুমের মধ্যে পায়ে টান লাগার কারন ও প্রতিকার

দাঁত ব্যথার কারন ও প্রতিকার

জেনে নিন কোন ড্রাগের সাথে কোন ড্রাগ নেয়া ঠিক না